ঢাকাসোমবার , ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. ইসলামিক
  7. কবিতা
  8. কৃষি সংবাদ
  9. ক্যাম্পাস
  10. খাদ্য ও পুষ্টি
  11. খুলনা
  12. খেলাধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. ছড়া
  15. জাতীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইতিহাসের পাতায় মরু সিংহ “ওমর আল মুখতার”

সাপ্তাহিক দেশের মানচিত্র
সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪ ৯:২৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ইতিহাসের পাতায় “ওমর আল মুখতার”

দেশের মানচিত্র, মুহাম্মাদ সাজিদ 

লিবিয়ার শিশুরা বড় হয় তাদের যে জাতীয় বীরের গল্প শুনে, তিনি ওমর আল মুখতার বিন ওমর বিন ফরহাত, যিনি ইতিহাসের পাতায় ওমর আল মুখতার নামেই বিখ্যাত। খুব সম্ভবত তিনি জন্মেছিলেন ১৮৫৮ সালে, যদিও ১৮৫৬ থেকে ১৮৬২ সালের মধ্যে তার কয়েকটি জন্মদিনের উল্লেখ পাওয়া যায়। লিবিয়ার বারক্বার জানযৌর নামের এক গ্রামে তার জন্ম হয়। তার জীবনের প্রাথমিককালের তথ্য খুব কমই পাওয়া যায়। তিনি জন্মেছিলেন এক ঘাইথ পরিবারে, যা ফরহাত গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। এই ফরহাত গোষ্ঠী আবার লিবিয়ার বারক্বার মানফাহাহ বাদু সম্প্রদায়ের একটি শাখা। তার বাবা ছিলেন সাহসী যোদ্ধা, তাই ধারণা করা যায়, তিনি মাঝে মাঝেই বাড়িতে অনুপস্থিত থাকতেন। মা আয়শা বিনতে মোহায়ের মুখতার ও তার ভাইদের ধর্মীয় এবং উন্নত মানুষ হওয়ার শিক্ষা দিয়েছিলেন।

একটু বড় হওয়ার পর ওমর আল মুখতার শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলেন আহমাদ শরীফ আল সেনুসিকে, এই আহমাদ শরীফ ছিলেন সেনুসি নামের সুফি গোত্রের শিক্ষক। পরবর্তী জীবনে মুখতার নিজেও শিক্ষকতা করে কাটিয়েছেন জীবনের বড় একটা সময়। তিনি শিক্ষার্থীদের কোরআন শিক্ষা দিতেন। নিজের জন্মভূমির ভূগোল ও পরিবেশ সম্পর্কে তার অগাধ জ্ঞান ছিল। এ জ্ঞান পরবর্তী সময়ে মরুভূমিতে ইতালীয় ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে তার কাজে লেগেছিল।

ইতিহাসে ওমর জায়গা করে নিয়েছেন ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে তার লড়াই দিয়ে। নিজ দেশের মানুষকে বিদেশী আক্রমণের মুখে তিনি রক্ষা করেছেন। ওমর মুখতার ইতিহাসে আসাদ আল-সাহারা, ‘লায়ন অব দ্য ডেজার্ট’ বা ‘মরুর সিংহ’ নামে পরিচিত। তার এ উপাধি পাওয়ার পেছনে একটি গল্প আছে। তরুণ বয়সে তিনি কাফেলায় সুদানে যাচ্ছিলেন মরুভূমির মধ্য দিয়ে। পথে এক সিংহের আক্রমণের ভয় সবাইকে সন্ত্রস্ত করে তোলে। ওমর সিংহের মুখোমুখি হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ঘোড়ার পিঠে চেপে শটগান হাতে তিনি সিংহের সামনে যান এবং সিংহটিকে হত্যা করেন। এ ঘটনা থেকে তিনি আসাদ আল-সাহারা নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন।

ওমর মুখতার মরুভূমিতে গেরিলা যুদ্ধের কার্যকর বিভিন্ন কৌশল উদ্ভাবন করেছিলেন। ছোট আকারে ঝটিকা আক্রমণ ও দ্রুত মরুভূমিতে পশ্চাদপসরণ—এই ছিল কৌশল। মুখতারের এ পদ্ধতি মোকাবেলা করতে গিয়ে ইতালীয় বাহিনী বিষাক্ত গ্যাস আক্রমণ ও প্রণালিবদ্ধ এথনিক ক্লিনজিংয়ের পদ্ধতি গ্রহণ করেছিল। মরুর বেদুইনদের সমর কৌশলে ইতালির প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনী বিস্মিত হয়েছিল।

১৯২২ সালে ওমর মুখতার লিবিয়ায় ইতালির ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে স্থানীয় মুজাহিদীনদের সংগঠিত করেন এবং প্রতিরোধ সংগ্রামকে নতুন করে প্রজ্বলিত করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে ইতালির ধারণা ছিল, তারা লিবিয়ার প্রতিরোধ সংগ্রামকে স্তব্ধ করে দিতে পারবে।

১৯১১ সালের অক্টোবরে ইতালির যুদ্ধজাহাজ লিবিয়ার ত্রিপোলির উপকূলে হাজির হয়। ইতালীয় নৌবহরের নেতা ফারাফেল্লি লিবিয়ার জনগণকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান, নয়তো নিমেষে নগরকে ধ্বংস করে দেয়ার হুমকি দেন। লিবিয়ার মানুষ পালাতে শুরু করে, সে অবস্থায়ই ইতালীয় বাহিনী ত্রিপোলি আক্রমণ করে এবং তিনদিন ত্রিপোলি শহরে বোমাবর্ষণ করে। এরপর ত্রিপোলির জনগণকে ‘ইতালির সঙ্গে বন্ধনযুক্ত’ বলে ঘোষণা করে। লিবিয়ায় শুরু হয় ইতালীয় ঔপনিবেশিক শাসন। ত্রিপোলি পরিণত হয় ইতালিয়ান ত্রিপোলিটানিয়া এবং লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের বারক্বা হয়েছিল ইতালিয়ান সিরানাইকা।

ইতালির আক্রমণ ও শাসনের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠে সেনুসি প্রতিরোধ। এ সেনুসিরা ছিল লিবিয়ার একটি শক্তিশালী সুফি সম্প্রদায়। এ সময় শুধু উপকূলীয় অঞ্চলই ইতালীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। লিবিয়ার অভ্যন্তরে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে ইতালির প্রশাসন কৌশলের আশ্রয় নেয়, তারা স্থানীয়দের সঙ্গে কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। ১৯২২ সালে ফ্যাসিস্টরা ক্ষমতায় এসে চুক্তিগুলো বাতিল করে দেয়। মুসোলিনির সেনারা রিকনকুয়েস্তা অভিযানে ঝাঁপিয়ে পড়ে—প্রাচীন রোমান উপনিবেশ ত্রিপোলিটানিয়া ও সিরানাইকাকে পুনরায় জয় করে।

লিবিয়ায় নিজেদের উপনিবেশ দখলে রাখতে এবং স্থানীয়দের প্রতিরোধ দমন করতে ইতালির সরকার পাঠিয়েছিল তাদের কুখ্যাত, নিষ্ঠুর উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা বাদোলিওকে। এ নিষ্ঠুর ইতালীয় সেনা কর্মকর্তা ওমর মুখতারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। এছাড়া ওমরকে সহায়তা করায় বেসামরিক নাগরিকদেরও নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে বাদোলিওর বিরুদ্ধে। ফ্যাসিস্ট শাসক শুধু মুসোলিনি লিবিয়ার বিদ্রোহ দমন করতে আরো একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছিলেন—রুডোলফো গ্রাজিয়ানি। লিবিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেকোনো পদক্ষেপ নেয়ার স্বাধীনতা দেয়া হয়েছিল এ সামরিক কর্মকর্তাকে।

সাইয়েদ আহমাদ আল-শরীফ আল-সেনুসির অধীন ইতালীয় ও ব্রিটিশ সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা পুঁজি করে ওমর মুখতার বারক্বায় সশস্ত্র সংগ্রামের সূত্রপাত করেন। এ লড়াইয়ের স্লোগান ছিল ‘আমরা জয়ী হব নয়তো মরব।’ ওমরের লড়াই দ্রুতই বিপুল গণসমর্থন লাভ করে। মুখতারের এ নিয়ন্ত্রণ বা শাসনকে স্থানীয়রা ‘নিশাচর সরকার’ নামে অভিহিত করত।

গেরিলা যুদ্ধে ওমরের কৌশল, দক্ষতা, উদ্দীপনা, সাহস দুনিয়ার সে সময়ের অন্যতম শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে নাস্তানাবুদ করে দিয়েছিল। আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত এবং তার চেয়ে অর্ধেক বয়সী সেনাদের ওমর লজ্জায় ফেলে দিয়েছিলেন। ইতালীয় বাহিনীর ট্যাংক ও বিমানের বিরুদ্ধে ওমরের সঙ্গে ছিল এক থেকে তিন হাজার সেনা এবং তাদের বাহন ছিল ঘোড়া আর হাতে হালকা আগ্নেয়াস্ত্র। এ পরিস্থিতিতেই ওমর ও তার বাহিনী প্রায় প্রতিদিনই মুসোলিনির সেনাদের নাস্তানাবুদ করেছে; বছরে আড়াইশর বেশি সংঘর্ষে জড়িয়েছিলেন। ইতালীয় ফ্যাসিস্ট শক্তি পাল্টা আক্রমণ করতে গিয়ে বেসামরিক মানুষকে টার্গেট করেছিল, স্থাপন করেছিল কনসেনট্রেশন ক্যাম্প। ১৯৩০ সালে এক লাখ বেদুইন নারী, পুরুষ ও শিশুকে মরুভূমির ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছিল, যেখানে তাদের অনেকে মারা গিয়েছিলেন এবং যে পরিমাণ মানুষকে ক্যাম্পে নেয়া হয়েছিল, তা ছিল সে সময়ের বারক্বার মোট ট্রাইবাল জনসংখ্যার অর্ধেক।

ওমর মুখতার তার জীবনে ন্যায়বিচার ও ইসলামী মূলনীতি চর্চার অসংখ্য উদাহরণ রেখে গিয়েছেন। একবার তিনি দুজন বন্দি ইতালীয়র জীবন রক্ষা করেছিলেন এই বলে যে ‘আমরা বন্দিদের হত্যা করি না।’ তখন ওমরের সহযোদ্ধারা বলেছিলেন, ‘ইতালীয়রা তো আমাদের বন্দিদের হত্যা করে।’ এর জবাবে ওমর যা বলেছিলেন তা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে ‘তারা আমাদের শিক্ষক নয়।’

ইতালীয় ফ্যাসিস্ট ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে ওমর যখন লড়াই শুরু করেন তখন তার বয়স ৫৩ বছর । ১৯৩১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ফাঁসির দড়ি গলায় পরার সময় তার বয়স ৭৩। জীবনের শেষ ২০ বছর তিনি লড়াই-সংগ্রামেই অতিবাহিত করেছেন।

১৯৬৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতায় আসেন মুয়াম্মার গাদ্দাফি। তিনি তার অনুসারীদের বলেছিলেন, তার কৈশোরের নায়ক ছিলেন ওমর মুখতার এবং তার (গাদ্দাফির) পিতা ওমরের অধীনে ইতালীয়দের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। গাদ্দাফি বিভিন্ন সময় লিবীয় জনগণকে ওমর আল-মুখতারের ‘অনুসারী’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তবে এই গাদ্দাফিও তার একনায়কতান্ত্রিক শাসনকে অব্যাহত রাখতে লিবিয়ার মানুষের মনকে শৃঙ্খলিত রাখতে চেয়েছিলেন। গাদ্দাফি সচেতনভাবে লিবিয়ার পুরনো সংস্কৃতিকে মুছে দিয়ে সেখানে নিজেকে লিবিয়ার ত্রাণকর্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। এটা করতে গিয়ে তিনি বেনগাজিতে ওমর মুখতারের সমাধি গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। বেনগাজিতে ওমরের সমাধিস্থলটি ওমর মুখতার স্কয়ার নামে পরিচিত ছিল। ২০০০ সাল পর্যন্ত সেখানে সমাধিটি টিকে ছিল। ১৯৫১ সালের ২৪ ডিসেম্বর লিবিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করে। এর আট বছর পর তার পরিবারের অনুমোদন সাপেক্ষে ওমর মুখতারের সমাধি নির্মাণ করা হয়। সে সময়ের লিবিয়ার শাসক রাজা ইদরিস ছিলেন ওমর মুখতারের সহযোদ্ধা, বন্ধুসম। তিনি তার বন্ধুর স্মৃতিকে সম্মান দেখাতে চেয়েছিলেন। ফাঁসির পর ওমরের মরদেহ সিদি আবেইদে সমাহিত করা হয়েছিল। ১৯৬০ সালের আগস্টে সেখান থেকে তার মরদেহ বেনগাজিতে ওমর মুখতার স্কয়ারে নিয়ে আসা হয় এবং এটি হয়ে ওঠে লিবিয়ার জাতীয় স্মৃতিসৌধ। দেশী-বিদেশী মানুষ এখানে এসে ওমর আল মুখতার কে শ্রদ্ধা জানাতেন। ওমরের ছেলে ও একমাত্র বংশধর হাজি মোহাম্মদ ওমর মুখতার মনে করতেন, গাদ্দাফি তার নিজের ভাবমূর্তিকে শক্তিশালী করা ও রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে ওমর মুখতারকে ব্যবহার করেছেন। ওমর মুখতারের প্রতিকৃতি লিবিয়ার ১০ দিনারের নোটে ব্যবহার করা হলেও গাদ্দাফি বেশি ব্যবহূত ও দিনারের নোটে নিজের ছবি ছেপেছেন। ওমরের জীবনীনির্ভর লায়ন অব দ্য ডেজার্ট ছবি নির্মাণে গাদ্দাফি ৩ কোটি ডলারের বরাদ্দ দিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু ছবিতে যেন সেনুসি সম্প্রদায়ের কথা উল্লেখ না থাকে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। অথচ ওমর মুখতার লড়েছিলেনে এই মানুষদের জন্য। সেনুসিদের গাদ্দাফি ঘৃণা করতেন এবং তার নিদর্শনও তিনি রেখেছেন। রাজা ইদরিসের পূর্বসূরিদের কবর খুঁড়ে তাদের কঙ্ককাল মরুভূমিতে ফেলে দেয়া হয়েছিল। এদিক থেকে ওমর মুখতারের প্রতি গাদ্দাফির আচরণ অপেক্ষাকৃত নরম ছিল। ৪০ বছর বেনগাজির স্কয়ারে সমাধিস্থ থাকার পর গাদ্দাফির নির্দেশে ওমর মুখতারের দেহাবশেষ তুলে বেনগাজি থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরের সোলুক গ্রামে নতুন করে কবর দেয়া হয়। ২০০০ সালে ফুটবল খেলাসংক্রান্ত এক বিতর্কিত ঘটনায় গাদ্দাফির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছিল, বিক্ষোভকারী তরুণরা নিজেদের ‘আমরা ওমর মুখতারের নাতি’ বলে আখ্যা দিয়েছিল। তারা গাদ্দাফিকে ভয় পায় না এমন স্লোগানও দিয়েছিল। গাদ্দাফির প্রতিক্রিয়া ছিল হিংসাত্মক, তিনি ওমর মুখতারের সমাধি গুঁড়িয়ে দেন এবং তার দেহাবশেষ সরিয়ে ফেলেন। এ ঘটনা প্রসঙ্গে ওমরের পুত্র হাজি মোহাম্মদ ওমর মুখতার ২০১১ সালে বলেছিলেন, ১৯৬০ সালে ওমরের দেহাবশেষ বেনগাজিতে আনা ও সমাধি নির্মাণের ব্যাপারে রাজা ইদরিস পরিবারের অনুমতি নিয়েছিলেন। কিন্তু ‘গাদ্দাফি ২০০০ সালে যখন আমার পিতার দেহাবশেষ সরিয়ে নেন, তখন আমাদের কাছে কোনো অনুমতি নেননি। তার দেহাবশেষ সোলুকে নিয়ে যাওয়া এবং তার সমাধি ধ্বংস করে দেয়ার ব্যাপারে আমাদের কোনো সম্মতি কখনই ছিল না।’

২০১৮ সালের জুলাইয়ে ৯৭ বছর বয়সে ওমর মুখতারের পুত্র হাজি মোহাম্মদ ওমর মুখতার প্রয়াত হন। ২০১১ সালে গাদ্দাফির বিরুদ্ধে লিবিয়ার তরুণদের বিদ্রোহকে সমর্থন করেছিলেন হাজি ওমর। সশরীরে তিনি বিদ্রোহী তরুণদের সমর্থন দিয়েছেন। তরুণরা যে নিজেদের ওমর মুখতারের নাতি হিসেবে পরিচয় দিয়েছে, তা নিয়ে হাজি ওমর খুশি ও গর্বিত হয়েছিলেন।

হাজি ওমরের মনে তার পিতার হন্তারক ইতালীয় জাতির প্রতি কোনো ব্যক্তিগত বিদ্বেষ ছিল না। তার পিতাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন যে ইতালীয় সেনা কর্মকর্তা জেনারেল রোডোলফো গ্রাজিয়ানি, তাকে একজন খারাপ মানুষ বলেছেন, কিন্তু সাধারণ ইতালীয়দের প্রতি তার কোনো ঘৃণা ছিল না।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
%d bloggers like this: